অয়ন সরকার ডুমুরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি: অবহেলিত বঞ্চিত একটি গ্রাম গৌরিঘোনা দক্ষিণ পাড়া। যেখানে অাজও উন্নয়নের কোনো ছুঁয়া লাগেনি। কেশবপুরের গৌরিঘোনা- ডুরিয়ার কাঁঠালতলায় ভদ্রানদীর উপর অবস্থিত সাঁকোটি ভেঙ্গে গিয়ে পারাপার চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হলেও যেন বিষয়টি দেখার কেউ নেই! যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া এবং ডুমুরিয়ার সীমান্তের কাঁঠালতলা সংলগ্ন গৌরিঘোনা এলাকায় । প্রত্যান্ত এ জনপদের মানুষ সরকারের প্রদত্ত গ্রাম্য অবকাঠামোর উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। যেখানে গ্রাম্য রাস্তা ঘাটের ৮০ শতাংশ কাঁচা।
রাস্তায় এখনও রয়েছে কাঁদা-পানি। তাছাড়া সাধারণ মানুষের পারাপার হতে ভদ্রানদীর ওপর অবস্থিত সাঁকোটি ভেঙ্গে গিয়ে চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হলেও যেনো বিষয়টি দেখার কেউ নেই? সরেজমিনে দেখা যায়, স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাঁকোটি সংস্কারের করছেন। কিন্তু সরকারি কোনো সহযোগিতা মেলেনি ওই সাঁকোটি সংস্কারে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসেনি সাঁকোটি সংস্কারের জন্য। গৌরিঘোনা ইউনিয়নের ভরতভায়না, কসেমপুর, গৌরিঘোনা, আগরহাটি, গৌরিঘোনা দক্ষিণ পাড়াসহ ৮/১০ টি গ্রামের সাধারণ মানুষের যাতায়াতে পারাপার হন গৌরিঘোনা – কাঁঠালতলা সাঁকো দিয়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন সাঁকোটি সংস্কারের অভাবে ভেঙ্গে গিয়ে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়ে সাধারণ মানুষ পারাপার হওয়া চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘদিন যাবৎ এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হলেও সাঁকো টি সংস্কারের জন্য আজও সরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসির অভিযোগ জন প্রতিনিধিরাও কোনোদিন দেখতেও আসেনি জরাজীর্ণ এ সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয় জীবনের ঝুঁকিনিয়ে। এছাড়া স্কুল কলেজগামি শিক্ষার্থী, কৃষি প্রধান এ এলাকর কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজার জাত করতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হতে হচ্ছে। স্থানীয় কিংকর মজুমদার , আব্দুস সামাদ, পলাশ মল্লিক, অপূর্ব কুমার মল্লিক, রমেশ দাশ, গৌতম মল্লিক, আনন্দ কুমারসহ এলাকাবাসী জানান, প্রত্যন্ত এ জনপদের মানুষ আমরা গ্রাম্য অবকাঠামো উন্নয়নে বঞ্চিত রয়েছি। ভদ্রানদীর ওপর সাঁকোটি জরাজীর্ণসহ এলাকার অধিকাংশ রাস্তা ঘাট এখনও কাঁচা রয়েছে।
সামন্য বৃষ্টিতে এলাকার সমগ্র রাস্তায় হাঁটু কাঁদা হয়। আর কাঁচা ওই রাস্তায় এখনও রয়েছে কাঁদা । ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ঝুকিপূর্ণ সাঁকোটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট উধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট। গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে গুরত্বপূর্ণ সাঁকোটির স্থলে স্থায়ীভাবে ব্রিজ নির্ণানের জন্য কেশবপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর কার্যলয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি কতৃপক্ষ প্রকল্প তৈরি পূর্বক সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করবেন। এ প্রসংগে কেশবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানা নাই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।